অনেক শিল্পীই তাঁর কাজ করার স্বপ্ন দেখেন

তিন বছরের ক্যারিয়ারে ‘সুহাসিনী’, ‘বাঁচিবার হলো তার সাধ’ ও ‘সময় সব জানে’সহ বেশ কয়েকটি নাটক, ওয়েব সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকমহলে পরিচিতি পেয়েছেন তরুণ অভিনয়শিল্পী তটিনী। ঈদে অন্তত পাঁচ নাটকে পাওয়া যাবে তাঁকে। কথা হলো বিনোদন–এর সঙ্গে।

অপূর্ব ভাইয়ার সঙ্গে এক দিন দৃশ্যধারণ করেছি; আরও এক দিন দৃশ্যধারণ করতে হবে। তিনি জ্যেষ্ঠ শিল্পী, এত বছর ধরে তাঁর কাজ দেখছি। আমার একটু নার্ভাস লাগছিল। তিনি খুবই বন্ধুভাবাপন্ন। তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা খুবই ভালো ছিল।

প্রথমবারের মতো সেবিকা চরিত্রে কাজ করেছি। আমার চরিত্রটি দারুণ, গল্পে রোমান্সও আছে।

ঈদে প্রচুর কাজ হয়, এর মধ্যে ভালো কাজ বেছে নেওয়া খুব কঠিন। আমি চার–পাঁচটার মতো কাজ করছি। এর মধ্যে ‘এসো হাত বাড়াই’ নাটকের পরিচালক জনি ভাই (মেহেদী হাসান) অনেক কাজ করেছেন। নাটকের গল্পটা খুব সুন্দর। তৌসিফ মাহবুব ভাইয়ের সঙ্গে একটি কাজ করেছি। প্রতিটি গল্পই আলাদা।

ক্লোজআপ কাছে আসার গল্পে এটি আমার প্রথম কাজ। এতে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সাড়া পেয়েছি আমি। গল্পটা ভিন্নধর্মী ছিল। দর্শকেরা কতটুকু গ্রহণ করবেন, চলচ্চিত্রের বার্তাটা দর্শকেরা ধরতে পারবেন কি না—এটা নিয়ে একটু চিন্তা করেছিলাম, তবে মুক্তির পর আর চিন্তা করতে হয়নি।

‘সুহাসিনী’ নাটকের জন্য সাধারণ মানুষ আমাকে চিনতে শুরু করেছে। নাটকটির নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ান স্যারকে ধন্যবাদ জানাই। কাজটি আমার কাছে বিশেষ। অনেক শিল্পীই তাঁর কাজ করার স্বপ্ন দেখেন। চরকির অমনিবাস চলচ্চিত্র ‘এই মুহূর্তে’–এর গল্প ‘কল্পনা’, ‘বাঁচিবার হলো তার সাধ’—সব কটি কাজেরই অবদান রয়েছে।

একেকজনের একেক বিষয় ভালো লাগে, সবার কাছ থেকেই শেখার চেষ্টা করি। অপি করিমের অভিনয়, সংলাপ বলা এত স্নিগ্ধ, আমার খুবই ভালো লাগে। মানুষ বলে, এই প্রজন্মের মানুষের মধ্যে স্নিগ্ধতা অনেক কম; আমিও তা–ই বলি। প্রিয়দের তালিকায় আফসানা মিমি, অপি করিম আপার নাম প্রথম দিকে থাকবে।

ব্যাটে–বলে মিলে গেলে অবশ্যই করব। সবারই ওটিটিতে কাজের ইচ্ছা থাকে। ওটিটিতে সময় বেশি পাওয়া যায়, নিজেকে বেশি ভাঙা যায়; নাটকে খুব দ্রুত শুটিং করতে হয়। সবকিছু ম্যানেজ করে চলতে হয়।