
বরেন্দ্র বার্তা ডেস্ক: পৃথিবীর ফুসফুস হিসেবে পরিচিত আমাজনে অগ্নিকাণ্ড বিশ্বব্যাপী পুঁজিপতিদের পরিবেশকে মুনাফার বলি করার ফলাফল হিসেবে মন্তব্য করেছেন পরিবেশবাদী ও নাগরিকসমাজের প্রতিনিধিরা ৷ বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবনকেও ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তাঁরা সুন্দরবনের পাশে নির্মাণাধীন রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধের দাবি জানিয়েছেন৷
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক নাগরিক তাঁরা এসব দাবি জানান ৷ ‘আমাজন থেকে সুন্দরবন, পরিবেশ রক্ষায় সোচ্চার হোন’ শিরোনামে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনসহ (বাপা) পরিবেশবাদী বেশ কয়েকটি সংগঠন যৌথভাবে এই সমাবেশের আয়োজন করে৷
বক্তারা নাগরিক সমাবেশে তাদের দাবী তুলে ধরেন । এতে বলা হয়, (০১). অবিলম্বে জাতিসঙ্ঘের নেতৃত্বে আমাজনের অগ্নিকান্ড বন্ধ করতে হবে। (০২). আমাজনের অগ্নিকান্ডের কারণ বের করে তার স্থায়ী সমাধান করতে হবে। (০৩). এ বিষয়ে দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন অববাহিকার ৯ টি দেশের সমন্বিত পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে। (০৪). সকল দেশের অংশগ্রহনে আমাজন রক্ষায় একটি বৈশ্বিক অর্থ তহবিল তৈরী করতে হবে। (০৫). আমাজানের এই ক্ষয়ক্ষতি পুরো পৃথিবীর; আমাজানে পুনঃবনায়ন ও পৃথিবীর অনান্য স্থানে বনায়ন বৃদ্ধি করার বৈশ্বিক পদক্ষেপ নিতে হবে। (০৬). ইতোমধ্যে আমাজন রক্ষায় ল্যাটিন দেশগুলোর প্রস্তাবিত বৈঠক বাস্তবায়ন করতে হবে; এ বিষয়ে ফরাসী প্রেসিডেন্ট আহুত“জি সেভেন” সম্মেলনের জরুরী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে হবে ও জাতিসঙ্ঘের নেতৃত্বে আমাজন বন রক্ষা করতে হবে। (০৭). রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে সুন্দরবনসহ বাংলাদেশের সকল বন যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। (০৮). বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা– খুলনা, বাগেরহাট, রামপাল, পটুয়াখালী, বরগুণা, কলাপাড়া, পায়রা, মহেশখালী, মাতারবাড়ী, কক্সবাজার; চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, বৃহত্তর সিলেট, মধুপুর, গাজীপুরের সকল বনের উপর সরকারী-বেসরকারী সকল অত্যাচার বন্ধ করতে হবে, বন রক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
সভার ঘোষনায় বলা হয়: “আমরা জানি, একজন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে পরিমাণ অক্সিজেন প্রয়োজন, তা দুটি পূর্ণ বয়স্ক গাছই সরবরাহ করতে পারে। অতএব মানুষের জীবনে গাছপালা ও বনরাজির গুরুত্ব অপরিসীম, গাছ ও প্রাণীভরা বিশ^ই মানব জাতির বেঁচে থাকা, টিকে থাকা ও উন্নত জীবন নিশ্চিত করার এক অন্যতম চাবি কাঠি। আসুন আমরা আমাদের সুন্দরবনসহ সকল বন বাঁচাই, আমাজন বন বাঁচাই,সুন্দরবন বাঁচাই ।”সমাবেশের আয়োজক সংগঠনগুলোর মধ্যে ছিল সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি, গ্রিন ভয়েস, আদি ঢাকাবাসী ফোরাম, পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগ প্রভৃতি ৷ বরেন্দ্র বার্তা/অপস